ডিজিটাল দপ্তর,
ডিজিটাল ক্যাম্পাস
ডিজিটাল ক্যাম্পাস
আমার এ অঙ্গীকারগুলো কোনো ইশতেহার নয়; আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য আমার প্রতিশ্রুতি মাত্র। আমরা আমাদের প্রাপ্য, আমাদের হক, আমাদের অধিকার একসাথে আদায় করে নেবো—কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ে যাবো। এ সুবিশাল ও জরাজীর্ণ ক্যাম্পাসের সমস্যাগুলোও এর আকারের মতোই বিস্তৃত—সংখ্যায় যা হাজার হাজার। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এর মধ্য থেকে মাত্র ৬টি সমাধানযোগ্য সমস্যা নিয়ে আমি কাজ করে যাবো। দুঃখের সাথে মেনে নিচ্ছি যে, আমার সাধ্য কম—এত এত সমস্যা নিয়ে কাজ করার সামর্থ্য আমার নেই; কিন্তু আমার আছে ওয়াদার প্রতি অবিচলতা। আমি যে সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করবো বলে ঠিক করেছি ও নিজেকে অঙ্গীকারবদ্ধ রাখছি, এগুলোর মধ্যে কয়েকটি এমনও আছে, যার সমাধান মাসখানেকের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য; আবার কোনো কোনো সমস্যার সমাধান বাস্তবায়ন কিছুটা সময়সাপেক্ষ—তবে, এটা নিশ্চিত যে, কোনোটির সমাধান বের করাই অসম্ভব বা অবাস্তব নয়। আমার প্রতিপাদ্যই যেহেতু ‘ডিজিটাল দপ্তর’, তাই স্বভাবতই ‘ডিজিটালাইজেশনের’ দিকে আমার অগ্রাধিকার বেশি থাকবে—কেননা, ডিজিটাল দপ্তর মানেই প্রশাসনিক ভবনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও হয়রানিমুক্ত ‘ডিজিটাল ক্যাম্পাস’। তবে একইসাথে অন্যান্য সমস্যাগুলো নিয়েও আমার সার্বক্ষণিক নজর ও কর্মতৎপরতা অব্যহত থাকবে।
১. ডিজিটাল দপ্তর
প্রশাসনিক ভবনের ‘লাঞ্চের পরে আসুন’ কালচার চিরতরে বন্ধ করে ‘কমপ্লিট অটোমেশন ও ডিজিটাইজেশন’ কার্যকর করতে কাজ করবো—যার ফলে, শিক্ষার্থীদের হলের ফি জমাদান, পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ, ফলাফল প্রকাশ, সনদ ও মার্কশিট উত্তোলন ও সংশোধন ইত্যাদি প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডিজিটাল হয়।
২. অটোমেশন ক্যাম্পাস
প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য আলাদা আলাদা প্রোফাইল তৈরি করতে কাজ করবো—যেখানে শিক্ষার্থীরা ভর্তির সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাপ্ত ইনস্টিটিউটিশনাল ইমেইল দিয়ে লগ ইন করে পরীক্ষার ফলাফল ও ফি জমাদানের অনলাইন রশিদসহ সকল তথ্য একটি ড্যাশবোর্ডে দেখতে পারবে।
৩. নিরাপদ ক্যাম্পাস
ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো এবং নিপীড়ন প্রতিরোধে বিশেষ সেল গঠন করতে কাজ করে যাবো।
৪. সবার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসম্মত ক্যান্টিন ও লাইভ বেকারির ব্যবস্থা, এবং হলে মিল সিস্টেমের সাথে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য ডাইনিং সুবিধা চালু করার জন্য কাজ করে যাবো।
৫. সিনেটে যাবে শিক্ষার্থীরা
শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য সিনেটে পৌঁছানোর বিকল্প নাই। সিনেটে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে আমি কাজ করে যাবো।
৬. প্রতিবছর চাকসু নির্বাচন
শিক্ষার্থীদের যোগ্য কণ্ঠস্বর ও প্রতিনিধি বাছাইয়ের একমাত্র উপায় হলো ছাত্র সংসদ নির্বাচন। তাই আগামী বছর যথাসময়ে চাকসু নির্বাচন নিশ্চিত করতে কাজ করবো।
১৫ অক্টোবর সারাদিন
দপ্তর সম্পাদক পদে
ব্যালট নং ১১-তে ভোট দিন